ভাইরাস হলো অতিক্ষুদ্র একপ্রকারের আপাত-জড় পদার্থ। ভাইরাস অন্যান্য জীব যেমন ব্যাক্টেরিয়া, উদ্ভিদ, প্রাণী প্রভৃতিকে সংক্রমিত করতে পারে। এভাবে ভাইরাস বিভিন্ন জীবের মধ্যে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করে যার ফলে অনেক সম্যে সেই রুগ্ন জীবটির মৃত্যু হয়। ভাইরাসের কোন কোষ থাকে না, ভাইরাসের নিজের সংখ্যাবৃদ্ধি ঘটানোর জন্য অন্য কোষের প্রয়োজন হয়। বেশিরভাগ ভাইরাসেরই এই তিনটি মূল অংশ থাকে- ১) একটি রাসায়নিক সংগঠন যা ভাউরাসটির জিনগত তথ্য বহন করে, ২) একটি বাহ্যিক বর্ম বা রক্ষাকারী আবরণ যা জিনগত তথ্য বহনকারী রাসায়নিক সংগঠনটিকে ঘিরে রাখে, এবং ৩) বাহ্যিক বর্মের ওপর আরও একটি আবরণ। ভাইরাস যদিও জীব নয় কিন্তু যে বিষয়টিতে জীবের সঙ্গে এর মিল খুঁজে পাওয়া যায় তা হল উভইয়েই জিনগত তথ্য বহন করে(জীবের ক্ষেত্রে ডি এন এ এবং আর এন এ, ভাইরাসের ক্ষেত্রে আর এন এ) এবং ফলে উভয়েই নিজেদের পুনরুৎপাদনে(জীবের ক্ষেত্রে যেটা প্রজনন) সক্ষম। নিজেদের পুনরুৎপাদনের কৌশল হিসেবে ভাইরাস প্রথমে জীবিত কোষের ভেতরে প্রবেশ করে এবং তারপর সেই কোষের কার্যকরী সংগঠনতন্ত্রকে দখল করে নেয়। এইভাবে নিজেদের সংখ্যা বাড়ানোর পর ভাইরাস কণাগুলি কোষ্টিকে ফাটিয়ে বেরিয়ে পড়ে এবং অপর কোষগুলিকে আক্রমণ করে। অনেকসময়ে এইভাবে ভাইরাস নিজের সংখ্যা বাড়াতে বাড়াতে নিজের জিনগত রাসায়নিক তথ্যের পরিবর্তন ঘটায় এবং তার পরিব্যক্তি বা ‘মিউটেশন’(Mutation) হয়; এইরকম পরিস্থিতিতে সেই ভাইরাসের প্রতিষেধক বা টীকা তৈরী করা কঠিন হয়ে পড়ে। SARS, ইনিফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, বর্ত্মান সময়ের নভেল কোরোনাভাইরাস প্রভৃতি হল এমন কিছু ভাইরাস যা মানুষকে আক্রান্ত করে। বর্তমান সময়ের নভেল কোরোনাভাইরাস পশুদের দেহে সংক্রমিত হতো এবং মনে করা হচ্ছে চীনের একটি ওয়েট মার্কেট থেকে মানবদেহে সংক্রমিত হয়েছে।
