কোভিড১৯ ভাইরাস মানুষের ফুসফুস ও শ্বাসনালীকে আক্রমণ করে ও এর ফলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়। এদেশে ডেঙ্গি, চিকুনগুনিয়া এমন নানান মশাবাহিত অসুখের প্রাদুর্ভাব ঘটে প্রতি বছর। । কিন্তু যেসব প্রজাতির মশা মানুষকে কামড়ায়, সেইসব মশারা তাদের শরীরে কোভিড১৯ ভাইরাসকে বহন করতে পারেনা। তাই এই ভাইরাসটি আক্রান্ত মানুষের থেকে সুস্থ মানুষের দেহে মশার কামড়ের দ্বারা সংক্রমিত হয়না।কোভিড ১৯ এর সংক্রমণ মশাবাহিত হতে পারে এই দাবির পিছনে কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।কোভিড১৯ ভাইরাস মূলত ছড়ায় রোগীর হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে। হাঁচি বা কাশির সাথে সাথে মানুষের মুখ থেকে বেড়িয়ে আসে ছোট ছোট বিন্দু বা বায়ুকণা(droplets)। এই বায়ুকণার উৎপত্তি ফুসফুস থেকে এবং কোভিড-আক্রান্ত রোগীর বায়ুকণায় থাকে ভাইরাস যা আশেপাশের মানুষকে সংক্রমিত করতে পারে। তাই কোভিড ১৯ ভাইরাসের থেকে বাঁচতে সামাজিক দূরত্ব রাখার নিয়মগুলো মেনে চলা জরুরি। সংক্রমিত রোগীদের এবং যাদের মধ্যে রোগের উপসর্গ দেখা গেছে তাদের থেকে বেশ কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে কোভিড ১৯ জনিত রোগের উপসর্গ হল শুকনো কাশি, জ্বর, ক্লান্তি ইত্যাদ।